আবারও ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ, সাকিব তামিমের গর্জন টের পেলো অজিরা
সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্য ও তামিম ইকবালের জোড়া অর্ধশতকে প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে জয়টাকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন মুশফিক।
“অবশ্যই এটা আমাদের অনেক বড় একটা অর্জন। এখন বলতে পারি এই ম্যাচটা ঐতিহাসিক ছিল।”
প্রায় পূর্ণ শক্তির অস্ট্রেলিয়া দলকে হারানোর আনন্দে ভাসছেন মুশফিক। তিনি মনে করেন, এই ধরনের জয়গুলো আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে বাংলাদেশকে।
“এই ধরনের অভিজ্ঞতাগুলো সব সময়ই কাজে লাগে। আবার যখন এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বো আরও ভালোভাবে সামলাতে পারবো আমরা। আমি মনে করি, এটা আমাদের সামর্থ্যের অনেক বড় একটি বার্তা।”
ঘোষণা দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, এটা বলায় আপত্তি আছে অধিনায়কের। তিনি মনে করেন, ঘোষণা দিয়ে ক্রিকেটে কেউ কোনো দলকে হারাতে পারবে না। তারাই শুধু সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন।
“এটা তো ঘোষণা ছিল না! আমরা বলেছি সম্ভব। এটা তো অসম্ভবের কিছু না। শুধু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নয়, যে কোনো দলের বিপক্ষেই দেশের মাটিতে এটা বলার চেষ্টা করব। কারণ, হোম কন্ডিশনে নিজেদের শক্তিটা আমরা জানি।”
নিজেদের শক্তিটা জানে বাংলাদেশ, সেই অনুযায়ী উইকেটও পেয়েছিল। তারপরও কাজটা সহজ ছিল না। জিততে নিজেদের উজাড় করে দিতে হয়েছে।
“চারটা দিন অনেক কষ্ট করেছি। ওরাও অনেক লড়াই করেছে। শেষ পর্যন্ত ওদের লোয়ার অর্ডারও অনেক চেষ্টা করেছে। এই জয় বড় একটা সন্তুষ্টি। একই সঙ্গে এটা আমাদের শিক্ষাও। যত বড় দলই হোক না কেনো, এই কন্ডিশনে আমরা যে কোনো পরিস্থিতিতে জিততে পারি।”
“কেউ হয়তো বলতে পারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা কোনোমতে জিতে গেছি। কিন্তু এখন আর সেটা বলতে পারবে না। কারণ দুটি বিশ্বমানের দলের সঙ্গে এটা সম্ভব নয়।… এখানে আমাদের চারদিন ধরে ভালো খেলতে হয়েছে।”
মুশফিকের শেষ কথাগুলো সিরিজ জয়ের আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে, “এখান থেকে ইতিবাচক দিকগুলো আমরা নিব। একই সঙ্গে আমরা আরো উন্নতি করতে চাইবো।”
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.